কল করুন

+৮৮০১৭১৯৯২ ৪৯৮৭

চট্টগ্রাম

এলাকা সম্পর্কে

চট্টগ্রাম সম্পর্কে 

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ২য় বৃহৎতম নগরী। চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর অবস্থিত থাকায় চট্টগ্রামকে বন্দর নগরী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বঙ্গোপসাগর আর কর্ণফূলী নদীর পাড়ে অবস্থিত চট্টগ্রামের রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস,উন্নয়ণশীল বর্তমান আর সম্ভাবনাময়ী ভবিষ্যত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আমদানি ও রপ্তানির কাজটা চট্টগ্রাম বন্দরই করে থাকে। এটি দেশের প্রধান সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার। বন্দরটি বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর এবং দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় ব্যস্ততম বন্দর।তাই বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক নগরী।শুধু বাণিজ্যই নয় পাহাড়,সমুদ্র এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে বিখ্যাত।অনেকে ভালোবেসে তাই প্রাচ্যের রাণী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

চট্টগ্রামে প্রপার্টি

এখানে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দর ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই বাণিজ্যিক প্রপার্টির চাহিদা চট্টগ্রামে রাজধানী ঢাকা থেকে কোন অংশেই কম নয়। আর বাণিজ্যের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে উন্নত আবাসন ব্যাবস্থা। তাই চট্টগ্রাম আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় দিকেই সমুন্নত এক নগরী। উন্নয়নশীল বাংলাদেশে দিনদিন প্রপার্টির চাহিদা যে হারে বাড়ছে ঠিক সেরকমই হারে বাড়ছে নাগরিক চাহিদা। নাগরিক যেকোন অভাব মেটাতে সদা প্রস্তুত চট্টগ্রাম।সমুদ্র,আকাশ,সড়ক কিংবা রেল সব মাধ্যমেই চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাংলাদেশের সেরা বললে কেও হয়তো দ্বিমত পেষণ করেবেন না।চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই বলা চলে। আর উচ্চবিত্তদের জন্য বিলাসবহুল আবাসন ব্যাবস্থাতো থাকছেই এখানে। সবমিলিয় চট্টগ্রাম অপূর্ব সুন্দর এক নগরীর মুর্তমান প্রতীক।

যাতায়াত ব্যবস্থা

চট্টগ্রাম জেলার সাথে দেশের সকল জেলার সাথেই ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক, রেল ও বিমানযোগে যোগাযোগ রয়েছে।

আকাশপথে ঢাকা বিমান বন্দর হতে বাংলাদেশ বিমান, জি এম জি,  ইউনাইটেড এয়ার সহ আরও অনেক অপারেটর চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে ভারত, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু দেশের সাথেই বিমান যোগাযোগ রয়েছে।রেলপথে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম হতে ঢাকার মাঝে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে।সড়ক পথে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যাস্ততম সড়ক হিসেবে বিবেচিত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

স্কুল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ঘাটি হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয,আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম,ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম,ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির মতো বেশ সাড়া জাগানো বিশবিদ্যালয় আছে এখানে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ,আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম দেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যাবস্থায় বেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। চট্টগ্রাম কলেজ,চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ,পটিয়া সরকারি কলেজ,আনোয়ারা সরকারি কলেজ,সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ,সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম,সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি উন্নত বেসরকারি কলেজও আছে চট্টগ্রামে।চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল,নাছিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,ডা. খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো দেশ বরেণ্য স্কুল রয়েছে এখানে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থাতেও ইংলিশ ও বাংলা মিডিয়ামের বেশ কিছু খ্যাতনামা স্কুলও আছে চট্টগ্রামে।

চিকিৎসা সুবিধা

চট্টগ্রামে রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল। ন্যাশনাল হাসপাতাল,এভারকেয়ার হসপিটাল,ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল,মেমন ম্যাটেরনারিটি হসপিটাল,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,পার্কভিউ হসপিটাল,ইম্পেরিয়াল হসপিটাল,মেট্রোপলিটন হাসপাতাল শহরের সেরা হাসপাতাল গুলোর প্রথম কাতারে অবস্থান করছে।হাসপাতাল গুলো চিকিৎসা সেবা দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।আর শহর জুড়ে বিভিন্ন ডায়গনস্টিক ও ফার্মেসির দোকান হাতের কাছেই পাওয়া যায়।

চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা 

প্রাচ্যের রাণী চট্টগ্রামে আছে পতেঙ্গা বিচ,কর্ণফুলী নদীর,নেভাল বিচ,ভ্যাটিয়ারি লেক,গুলিয়াখালী সি বিচ,দুলাহাজরা সাফারি পার্ক,চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা,জিয়া মেমোরিয়াল জাদুঘর সহ অসংখ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বিনোদন কেন্দ্রের অভাব নেই চট্টগ্রামে।ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশের মানুষদের তাই একবার না একবার চট্টগ্রামে যাওয়া পড়েই। বাংলাদেশে এক জায়গায় এতো গুলো ঘোরার মতো জায়গা আর নেই বললেই চলে।

মসজিদ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

মুসলমান,হিন্দু,বৈদ্ধ ধর্মালম্ববিদের কাছে চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বায়েজিদ বোস্তামির মাজার,চন্দনপুরা মসজিদ,ওয়ালী বেগ জামে মসজিদ,বাছা শাহ জামে মসজিদ,আন্দেরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ধর্মপ্রান মুসল্লীদের কাছে বেশ প্রিয় জায়গা। চন্দ্রনাথ মন্দির,বুদ্ধ ধাতু জাদী,চেতশ্বরী কালী মন্দির,জগন্নাথ মন্দির হিন্দু ও বৈদ্ধ ধর্মালম্ববিদের কাছে জায়গা বেশ জনপ্রিয়।

আশেপাশের এলাকা 

চট্টগ্রামের উত্তরে ফেনী জেলা। উত্তর ও উত্তর পূর্বে আরও রয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাট। দক্ষিণে কক্সবাজার ও বঙ্গোপসাগর। চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থা শুধু দেশ নয় দেশের গন্ডিপেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবেও সংযুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে।তাছাড়া এক সময় এই চট্টগ্রামই ছিলো নৌপথে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার।

খাবার রেস্টুরেন্ট

মেজবানের জন্য চট্টগ্রাম বেশ বিখ্যাত। দেশী খাবারের জন্য চট্টগ্রামের খ্যাতি থাকলেও বিদেশী খাবারের রেস্ট্রুরেন্ট গুলোও এখানে বেশ জনপ্রিয়।এম্ব্রোসিয়া,রেজালো,হান্ডি রেস্ট্রুরেন্ট,দি এক্সচেঞ্জ রেস্ট্রুরেন্ট,বারকোড ক্যাফে,দি প্যাভিলিয়নের মতো বিখ্যাত রেস্তোরার সমাহার এই চট্টগ্রামে।আর তাছাড়া সি ফুডের জন্যেও এই অঞ্চলের মানুষের খ্যাতি বহু পুরানো।

কেনাকাটা 

ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের প্রিয় চট্টগ্রামে আছে বেশ কয়েকটি নামকরা শপিং মল। খুলশী মার্ট,বিপনী বিতান,মিমি সুপার মার্কেট,সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট,মেগামার্ট,সানমার ওসান সিটি,আফমি প্লাজা নান্দনিক সব শপিং মল গুলোতে পাওয়া যাবে দেশী বিদেশী সব পণ্যের সমাহার। তাছাড়া কাঁচা বাজার ও মাছ কেনাকাটার  জন্য চট্টগ্রামের মানুষ নগরের অভ্যন্তরেই দারুণ সব জায়গা পেয়ে যাবেন।

Compare listings

Compare