কল করুন

+৮৮০১৭১৯৯২ ৪৯৮৭

ঢাকা

এলাকা সম্পর্কে

ঢাকা সম্পর্কে 

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং সবথেকে বৃহত্তম শহর। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি দক্ষিণ এশিয়ায় মুম্বাইয়ের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শহর। ঢাকার জিডিপি ১৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ লোক ঢাকা শহরে বসবাস করে। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম শহর। মসজিদের শহর হিসেবে সুপরিচিত ঢাকা দারুন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যমন্ডিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলা হয় ঢাকাকে। ভৌগোলিকভাবে ঢাকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরান ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা অর্থাৎ বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে দুটি স্বশাসিত সংস্থা ঢাকা শহরের পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। ঢাকা শহর প্রায় প্রতিটি কোণে, বন্ধুত্বপূর্ণ স্থানীয়, এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন এবং আধুনিক মিশ্রণ। সার্বিক দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্বের অন্যতম একটি মেগাসিটি।

ঢাকায় প্রপার্টি 

বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই ঢাকাকেন্দ্রিক। আর তাই বাংলাদেশের সব মানুষেরই ঢাকামুখী ঢল বেশ লক্ষণীয়। বসবাসের জন্য এখানে রয়েছে চমৎকার সব এলাকা। নান্দনিক এবং বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি মধ্যবিত্তদের জন্য রয়েছে বেশ সুন্দর আবাসস্থল। ঢাকা শহরের সব রকম মানুষের কর্মস্থল, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের আবাসস্থলও আছে ঢাকা শহরে। ঢাকার,গুলশান,বনানী বসুন্ধরা, ধানমন্ডি বিলাসবহুল আবাসিক প্রপার্টির জন্য বিখ্যাত। নাগরিক জীবনের সকল সুবিধাসহ অনেক বাড়তি সুবিধা রয়েছে এখানে। তাছাড়া মিরপুর মহাখালী শ্যামলী উত্তরা তেজগাঁও রামপুরা মতিঝিল মালিবাগ শ্যামলী বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত উত্তম জায়গা। আটটায় পুরো ঢাকা শহর জুড়ে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রপার্টি চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। ঢাকা শহরে একটি প্রপার্টি বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্নের সমান।

যাতায়াত 

বহির্বিশ্বের সাথে ঢাকা শহরের যোগাযোগের জন্য রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশ্বের বিভিন্ন রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা হয় এখান থেকে। আর তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সাথে রেল যোগাযোগ অত্যন্ত দারুন ঢাকা শহরের সাথে। আর সড়কপথে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। বরিশাল-খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক টির মাধ্যমে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। তাছাড়া ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা রংপুর মহা সড়কের মাধ্যমে সড়ক ব্যবস্থায় ঢাকা শহরের সাথে বৈপ্লবিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। শুধু তাই নয় বুড়িগঙ্গা নদী থাকার ফলে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ-স্টীমারে যাতায়াত বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। সর্বোপরি বাংলাদেশের ঢাকার সাথে সকল জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সর্বোত্তম।

রাজধানী হিসেবে ঢাকা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সংসদ ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন এবং রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন ঢাকাতেই অবস্থিত। বাংলাদেশ সচিবালয়, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টও ঢাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ পুলিশের হেডকোয়ার্টার,সেনা নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান কার্যালয়  ঢাকাতেই অবস্থিত। সর্বোপরি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় এবং প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল হচ্ছে ঢাকা। বাংলাদেশের  অধিকাংশ নামিদামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রশংসিত জাতীয় দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, হাতিরঝিল, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বায়তুল মোকারম মসজিদ, তাঁরা মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদির মূল স্থান।

ঢাকা মেট্রো (এম আর টি লাইন 6)

বাংলাদেশে সম্প্রতি ( ডিসেম্বর ২৮, ২০২২) রাজধানী ঢাকায় প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করেছে। ঢাকা মেট্রো রেল হল একটি ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এম আর টি) লাইন ৬ সিস্টেম যার লক্ষ্য ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকায় গণপরিবহন পরিষেবা প্রদান করা। এটি দেশের প্রথম মেট্রো এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে। মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ঢাকার ক্রমবর্ধমান যানজট হ্রাস করা এবং সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের সময় বাঁচিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং মেট্রোরেল প্রকল্পটি সরকারের রাজস্বের উৎস হবে এবং সেইসাথে একটি আয়ের উৎসও তৈরি করবে। সমগ্র জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের জনগণ আশা করে যে দেশের সরকার দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে আরও উদ্যোগ নেবে এবং অন্যান্য প্রকল্পে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু হবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০ কিলোমিটার (প্রায় ১২ -মাইল) লাইনটি ১৭ টি স্টেশনে কাজ করবে এবং উত্তর ঢাকা অঞ্চলকে সরকারি অফিস ও হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত করবে। এটি শেষ পর্যন্ত শহর জুড়ে দক্ষিণে মতিঝিলের আর্থিক জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এতে ১৭ টি স্টেশন এবং ১৪ টি ট্রেন থাকবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি নামকরা হলেও উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের ঘাঁটি হচ্ছে ঢাকা। আর তাছাড়া ঢাকা শহরে রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি,আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সহ অসংখ্য নামকরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নটরডেম কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, হলিক্রস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ বেশ জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত। তাছাড়া প্রাথমিকে চমৎকার সব বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল রয়েছে।

চিকিৎসা সুবিধা 

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় সর্বজন বিখ্যাত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঢাকায়। বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় সব রকমের উচ্চতর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এখান থেকে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাবএইড হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল,পপুলার ডায়াগনস্টিক, ইবনে সিনা হাসপাতাল ইত্যাদির মত দেশ বরেণ্য বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ঘাঁটি হচ্ছে ঢাকা।

চিত্ত বিনোদন 

ঢাকা শহরে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় চিড়িয়াখানা, শাহবাগ শিশুপার্ক, হাতিরঝিল, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা সবচেয়ে বিখ্যাত। যমুনা ফিউচার পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম, ওয়াটার কিংডমের মতো দারুণ বিনোদন কেন্দ্রসহ প্রত্যেকটি এলাকায় পার্ক ও চিত্তবিনোদন কেন্দ্রের অভাব নেই ঢাকা শহরে। জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামসহ সকল খেলাধূলার কেন্দ্রস্থলও এখানে।সব মিলিয়ে ঢাকা অত্যন্ত চমৎকার বিনোদনের স্থল।

খাবার রেস্টুরেন্ট 

ঢাকায় দেশী ও বিদেশি নানান সব খাবারের স্থান রয়েছে। পুরান ঢাকার বিরিয়ানি,বাকরখানি, মোগলাই খাবারের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত। তাছাড়া নান্দনিক সব দেশী বিদেশি রেস্টুরেন্টের সমাহার রয়েছে যেগুলো নিয়ে লেখা শুরু করলে শেষ হবার নয়। বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেলও রয়েছে এখানে।প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, রেডিসন ব্ল ওয়াটার গার্ডেন, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, লা মেরিডিয়েন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ইত্যাদি হোটেল বেশ বিখ্যাত।

কেনাকাটা

যমুনা ফিউচার পার্ক এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মলের অন্যতম।দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সমাহার নিয়ে ঠাই দাড়িয়ে আছে এই বিখ্যাত শপিংমলটি। বসুন্ধরা সিটি বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক শপিংমল। পান্থপথে অবস্থিত এই শপিং মলে মিলবে প্রয়োজনের সবকিছু। সীমান্ত স্কয়ার, টোকিও স্কয়ার, ঢাকা নিউমার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লী সহ অসংখ্য নান্দনিক সব শপিং মলের সমাহার ঢাকা শহরে। দেশী বিদেশি নানান সব ব্রান্ডের মেইন আউটলেট গুলোও ঢাকায় অবস্থিত। সব মিলিয়ে শপিংয়ের জায়গার ক্ষেত্রে ঢাকা অপ্রতিদ্বন্দ্বী একটি জায়গা।

Compare listings

Compare

How can I help you? :)

13:23
Contact Us