কল করুন

+৮৮০১৭১৯৯২ ৪৯৮৭

বনশ্রী

এলাকা সম্পর্কে

বনশ্রী সম্পর্কে 

২০০০ সালের পর থেকে দ্রুতই গড়ে ওঠা এলাকাগুলো নিয়ে লিখতে হলে বনশ্রী তার প্রথম কাতারে থাকবেই। ঢাকা শহর কতো দ্রুত পরিবর্তনশীল তার অন্যতম এক নমুনা হচ্ছে বনশ্রী। এই দু দশক আগে সময়ের পাতা উল্টালে বনশ্রীকে দেখা যাবে এক বিরানভূমি, সবুজ সুন্দর ধানক্ষেত। আর আজ সেই বনশ্রী ইট পাথর কংক্রিটের শহর। এখানে সর্ব প্রকার নাগরিক সেবার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাও চমৎকার।

বনশ্রীতে প্রপার্টি 

পরিকল্পিত নগরায়নের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বনশ্রী। পুরো এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রিয়েল এস্টেট  প্রকল্প। মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে কিংবা উচ্চবিত্তের বিলাসবহুল সুবিধা সম্পন্ন সবরকমের প্রপার্টির দেখা মিলবে এখানে। আবাসিক প্রপার্টির পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্রপার্টির চাহিদাও অনেক এখানে।আশেপাশে ব্যাংক, বীমা, অফিস, আদালতে পরিপূর্ণ হতে উঠেছে বনশ্রী। নিত্যদিনের পন্য তো বটেই ইদানীং কালে গড়ে উঠেছে উন্নত মানের বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট। তাই সবমিলিয়ে বনশ্রীর প্রপার্টি চাহিদা সর্বদা বিরাজমান।

যাতায়াত ব্যবস্থা 

এই এলাকার সাথে ঢাকার অন্য এলাকা এবং অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। বনশ্রী সরাসরি ডি আই টি রোডের সাথে সংযুক্ত। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোরেল এর স্টপেজ থাকবে বনশ্রীতে। বনশ্রী মেইন রোডের পাশেই অধিকাংশ দোকানপাট ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। আর এলাকার অভ্যন্তরে রিকশা সব চেয়ে সহজলভ্য বাহন। বনশ্রী মেইন রোড সংযুক্ত হয়েছে ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক ডি আই টি রোড। বাড্ডা ইউলুপ দয়ে সহজেই হাতিরঝিলে পৌছানো সম্ভব এখান থেকে। এই এলাকায় মেট্ররেল লাইন ১ এর একটি স্টপ আছে যা রামপুরা ও বনশ্রী অতি নীকটে। আবার এম আরটি লাইন ৪ যুক্ত থাকবে বনশ্রীর সাথেই। তাই মেট্রোরেল এর সুফল বেশ ভালোমতো ভোগ করতে পারবে বনশ্রী এলাকার মানুষজন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 

বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের বেশ কিছু চমৎকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এই এলাকায়। ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইন্সটিটিউট,ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের দুইটি ব্রাঞ্চ আছে এখানে। ঢাকার বৃহৎতম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের একটি অ্যাকাডেমিয়ার ক্যাম্পাস আছে বনশ্রীতে। নিকটে আফতাবনগরে আছে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।

চিকিৎসা সুবিধা 

ফারাজী হাসপাতাল,আল-রাজী ইসলামিয়া হসপিটাল, ইয়ামাগাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল এর মতো চমৎকার চিকিৎসা সেবা সম্পন্ন চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান থাকায় বনশ্রী এখনও অনন্য। আর ফার্মেসির দোকান তো এখন সচারাচর সব জায়গায়ই পাওয়া যায়।

মসজিদ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

বনশ্রীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের জন্য আছে বনশ্রী সেন্ট্রাল মসজিদ,সাউথ বনশ্রী জামে মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি মসজিদ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য আছে শ্রী শ্রী কালী মন্দির, বৌদ্ধদের বৌদ্ধ মন্দিরও আছে এখানে। সব মিলিয়ে সব ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে বনশ্রী উত্তম একটি এলাকা।

আশেপাশের এলাকা 

বনশ্রী থেকে ডি আই টি রোড ধরে উত্তর দিকে এগিয়ে গেলেই রামপুরা, বাড্ডা। আর হাতিরঝিল দিয়ে গুলশান, নিকেতন, তেজগাঁও এবং সেন্ট্রাল ঢাকার অনান্য এলাকায় পৌছে যেতে পারবেন। রামপুরার মতো বিখ্যাত এলাকা বনশ্রীর পাশেই অবস্থিত।

খাবার রেস্টুরেন্ট

বনশ্রীতে দেশী বিদেশি ফাস্ট ফুড সহ হরেক রকমের খাবারের অপশন পাওয়া যাবে। কাবাবের জন্য আল কাদেরিয়া বেশ নামকরা এখানে। থাই, চাইনীজ এবং ফাস্টফুড এর বেশ উন্নত রেস্টুরেন্ট ইদানীং কালে জমজমাট ভাবে গড়ে উঠছে এই এলাকায়। আর স্ট্রিট ফুডের সমাহার তো থাকছেই এলাকায়।

কেনাকাটা 

কেনাকাটা ও টুকটাক বাজার সদাইয়ের জন্য বনশ্রীর মানুষের ভরসার জায়গা হচ্ছে মেরাদিয়া কাঁচাবাজার। নানান ব্রান্ডের সুপার শপ গুলোর আউটলেটও পাওয়া যাবে এখানে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট ছোট ডিপার্টমেন্টাল ও জেনারেল স্টোর। আর প্রতি বছর কুরবানির ঈদে বিখ্যাত মেরাদিয়া গরু-ছাগলের হাট বসে।

Compare listings

Compare